রোববার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোস্তাক আহমেদ এই রায় দেন।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত লাল মিয়া পলাতক রয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া মামলার অপর নয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইমাম হোসেন ঠান্ডু মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ২০০১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটে মন্দির ভাঙ্গা নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেন রঙ্গুর সঙ্গে আসামিদের কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে ওইদিন বিকেল ৫ টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ অপর আসামিরা বারমাইস্যা বাজারে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ডেগার দিয়ে মোজাফ্ফর হোসেন রঙ্গু ও আবুল কালামকে হত্যা করে।
নিহত রঙ্গুর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি ইমাম হোসেন ঠান্ডু এবং আসামি পক্ষে পঙ্কজ কুমার নন্দী, জাহিদুর হক আধার ও তাপস কুমার দাস মামলাটি পরিচালনা করেন।