ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ওই ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদনও এসেছে।
মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
পরিমল দাস নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাভুক্ত শিশির দাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বলাই জেলার পূর্ব নালীছড়া গ্রামের ভোটার হওয়ার পরও বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন। তার বাবার নাম যতীন্দ্র দাস।
ওই অভিযোগের সঙ্গে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে শিশিরকে দেয়া ছবিসহ পরিচয়ত্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি যুক্ত করেছেন পরিমল।
এই প্রেক্ষাপটে অভিযোগের তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় মিয়ানমার ও ভারতের ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ভোটার হওয়ার প্রবণতা বরাবরই রয়েছে।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে ১৪টিরও বেশি উপজেলায় ইসির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। গত ৬ বছরে রোহিঙ্গা সন্দেহে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটার নিবন্ধন ফরম বাতিল করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সীমান্তের কয়েকটি জেলায় ভোটার হওয়া ভারতের কয়েকজন নাগরিককে সনাক্ত করে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের ছোট ধামাই গ্রামের ভোটার তালিকায় থাকা ১০ জন ভারতীয়।
গত ১৫ মে থেকে দেশজুড়ে চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি নাগরিকদের ভোটার করার বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে ইসি।