মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি এ কে খন্দকারের সদ্য প্রকাশিত একটি বইয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ ওঠার পর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামে তার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংগঠনটি।
Published : 06 Sep 2014, 01:03 AM
ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে আগামীকাল [শনিবার] লিখিতভাবে জানানো হবে।”
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন গত মহাজোট সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। তার লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি গত বুধবার প্রকাশিত হওয়ার পর শুরু হয় সমালোচনা।
বইয়ে তিনি লিখেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ ‘জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়া আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না বলেও লিখেছেন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।
ওই লেখার কারণে এ কে খন্দকারের তীব্র সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার সংসদে বইটি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাংসদ।
তাদের অভিযোগ, বইটিতে এ কে খন্দকার তথ্য বিকৃতি করেছেন। এছাড়া সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামে তার পদ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ।
মেজর রফিক নামে খ্যাত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম সংসদে বলেন, “ইচ্ছাকৃত ভুল হচ্ছে। এই বইয়ের বক্তব্য অসত্য ও ভুল। কোনো মহলের প্ররোচনা থাকতে পারে।”
এই প্রেক্ষাপটে এ কে খন্দকারকে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে শুক্রবার গুঞ্জন শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম সফিউল্লাহ বলেন, “কালকেই (শনিবার) জানতে পারবেন।”
সিদ্ধান্ত শনিবার ফোরামের বৈঠক বসবে কি না জানতে চাইলে সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা আর বসব না। আজ রাতে লিখে রাখব, কালকে প্রেসকে দেব।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাদের নিয়ে ২০০৭ সালে গঠিত হয় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার তখন থেকেই এর নেতৃত্বে।