গাইবান্ধায় তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ডায়ারিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে দিচ্ছে।
Published : 27 Aug 2014, 09:47 PM
গাইবন্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি সাত সেন্টিমিটার এবং করতোয়া ৩৬ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি এক সেন্টিমিটার করে বেড়েছে।
ঘাঘট নদী বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, চার উপজেলার ২৯ ইউনিয়নের ২৪ হাজার ৯৪ পরিবারের ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৩ জন বন্যা দুর্গত।
পানি বাড়তে থাকায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুভোগ বাড়ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উস শামস জানান, তার ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় কাটাখালী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিনদিনে এই এলাকার সাতটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরকার জানান, বন্যার পানির চাপে তিস্তার শাখা নদীতে রামডাকুয়া এলাকার সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ডায়ারিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. আহাদ আলী জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সময় পানিবাহিত রোগ বাড়তে পারে। তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে।