‘বেবী মওদুদ ছিলেন প্রতিবন্ধীদের বন্ধু’

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে বেবী মওদুদকে অনুসরণের আহ্বান এসেছে তার স্মরণে একটি সভা থেকে।

‘বেবী আপা ছিলেন সবার জন্য’

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বেবী মওদুদকে শেষ বিদায়

সদ্য প্রয়াত এই লেখক-সাংবাদিকের স্মরণে সোমবার ‘সুইড বাংলাদেশ’ আয়োজিত ওই সভায় সব বক্তাই প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে তার অবদানের কথা তুলে ধরেন।

সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দ্য ইন্টেলেকচ্যুয়ালি ডিজএবল (সুইড) বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের অধিকার এবং তাদের বিষয়ে জনসচেনতা তৈরিতে কাজ করে, বেবী মওদুদ এই সংগঠনটির কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তাদের নিয়ে সমাজের ভুল ধারণা নিরসনে নিয়মিত লিখতেন বেবী মওদুদ।

‘প্রতিবন্ধিতা অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ’, ‘প্রতিবন্ধীদের আনন্দময় ভুবন’ গ্রন্থের পাশাপাশি তার বহু লেখা রয়েছে।

ইস্কাটনে সুইড বাংলাদেশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীরা যেন সমাজের অন্য মানুষদের মতো বাঁচতে পারেন, তা নিয়ে ভাবতেন বেবী মওদুদ। এক্ষেত্রে তার শূন্যতা সবসময় অনুভব করতে হবে।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বেবী মওদুদ ছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার চিন্তা-চেতনা আজীবন আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।

“বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তিনি ছিলেন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন তিনি।”

সাদাসিধে জীবন-যাপন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের প্রগতিশীল সব আন্দোলনে বেবী মওদুদের অবদানের কথাও উঠে আসে প্রবীণ রাজনীতিক ফজলে রাব্বীর বক্তৃতায়।

বেবী মওদুদের সঙ্গে নবম সংসদে থাকা আসমা জেরিন ঝুমু বলেন, “সমাজকে সচেতন করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। তার ভাবনা, চিন্তা, চেতনায় সবসময় থাকত বাংলাদেশ।”

স্মরণ সভায় সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, প্রয়াত বেবী মওদুদের ছেলে রবিউল হাসান অভীও ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত সুইড বাংলাদেশের সভাপতি জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন, বর্তমান মহাসচিব হেমায়েতউদ্দীন আহমেদ, পরিচালক নুরূল ইসলাম প্রমুখ।

বেশ কিছুদিন ক্যান্সারে ভুগে গত গত ২৫ জুলাই মারা যান বেবী মওদুদ। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।