বৃহস্পতিবার রংপুরের নারী ও নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক কেজি মোস্তফা পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত এসআই আবুবক্কর সিদ্দিক বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাছনাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামি পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।”
মামলার বিবরণে বলা হয়, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকার আম্বিয়া খাতুন মামলা করেন। তবে এতে তার বিমাতা বোন বাসিরন বেগমকে (৩৫) আসামি করেননি।
তবে কাউনিয়া থানার এসআই আবুবক্কর সিদ্দিক পুলিশ নিয়ে মৃত রমজান আলীর স্ত্রী বাসিরনকে গ্রেপ্তার করেন।
বাসিরনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পথে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। থানায় আনার পর এসআই আবুবক্কর সিদ্দিক তাকে যৌন হয়রানি করেন।
জামিনে বেরিয়ে এসে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি আবুবক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে করা তার মামলায়।
আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন বাদির মনপুত না হওয়ায় তিনি গত বছর ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন করেন।
শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে আসামি এসআই আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আইনি প্রক্রিয়ায় তা প্রমাণ করবো।”