১০ ট্রাক অস্ত্র: নিজামীর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ চার আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2014, 05:28 PM
Updated : 16 April 2014, 05:28 PM

প্রাথমিক শুনানির পর বুধবার মো. রেজাউল হক ও গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ ওই চার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে।

নিজামী ছাড়া মামলার আসামি এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, মো. আবদুর রহীম, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক লিয়াকত হোসেনের আপিল গ্রহণ করেছে আদালত।

এই তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গৃহিত হয়েছে। তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য আগেই গৃহিত হয়।

ঘটনার ১০ বছর পর গত ৩০ জানুয়ারি এই মামলায় নিজামী এবং বিএনপি নেতা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াও রয়েছেন।

চোরাচালান মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি ও ২৫-ডি ধারায় তাদের ফাঁসির আদেশ হয়।

একইসঙ্গে হাই কোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আর অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় ওই ১৪ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলার ১৯-এফ ধারায় তাদের দেয়া হয়েছে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে।

পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অস্ত্রের চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

ওই ঘটনায় চোরাচালান ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৫২ জন, যাদের মধ্যে ৩৮ জনকে খালাস দেয় আদালত।