পূর্বরেলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ৯ কর্মকর্তা

পূর্ব রেলের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা দুটি মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন রেলওয়ের নয় কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2014, 02:48 PM
Updated : 25 March 2014, 02:48 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে মামলা দুটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আদালত আগামী ৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মঙ্গলবার যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন-  উপ-পরিচালক আহসান উল্লাহ, পরিচালক (সংস্থাপন) ইব্রাহিম খলিল, পরিচালক অসীম কুমার তালুকদার, উপ-সহকারী পরিচালক (সংস্থাপন) হোসনে আরা আক্তার, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ, প্রধান সহকারী আলাউদ্দিন, অফিস সহকারী খন্দকার সাইফুল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ ও মৌসুমি বেগম।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফুয়েল চেকার ও সহকারী কেমিস্ট পদের নিয়োগে অনিয়মের দুটি মামলাতেই নয় জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে গত ১৩ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দেন দুদক ঢাকা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার ও মামলার বাদি এস এম রাশেদুর রেজা।

এ মামলার আসামিরা হলেন- পূর্ব রেলের তৎকালীন সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা, সহকারী কেমিস্ট পদপ্রার্থী সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীল।

গত ৪ মার্চ ফুয়েল চেকার পদের মামলাটিতে জবানবন্দি দেয়া শেষ করেন মামলার বাদি দুদক কর্মকর্তা এস এম রাশেদুর রেজা।

ওই মামলায় আসামিরা হলেন- পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক জ্যেষ্ঠ ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও দুই নিয়োগ প্রত্যাশী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান।

আনিসুর রহমান ও আবুল কাশেম গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ৩ মার্চ ইউসুফ আলী মৃধা আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

পূর্ব রেলের সাবেক জিএম মৃধার বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই পাঁচটিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে ‘সহকারী কেমিস্ট’ ও ‘ফুয়েল চেকার’ পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়েছে।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারও।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে।

এরপর পূর্ব রেলের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ওই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় ছয়টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।