হট্টগোলের মধ্যে অভিযোগ গঠনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলার শুনানি ভিন্ন এজলাসে নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Published : 25 Mar 2014, 05:17 PM
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় গত ১৯ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ঢাকার জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় ব্যাপক হৈ চৈ হয়েছিল।
হট্টগোলের মধ্যে বিচারক এজলাস ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। অভিযোগ গঠনের আদেশও খাস কামরায় বসে দেন বিচারক, যা পরে পেশকার সবাইকে পড়ে শোনান।
সেদিনের ঘটনার পর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ভিন্ন এজলাসে করার আবেদন মন্ত্রণালয়ে করা হয়েছে বলে দুদকের কৌঁসুলি বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটার মোশাররফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি আদালতে এলে আইনজীবী এবং দলীয় নেতা-সমর্থকদের উপস্থিতির কারণে বিচারের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এতে অন্য আদালতের কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া আদালত অঙ্গনে তার নিরাপত্তারও বিষয় আছে।
“তাই পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে কিংবা বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে মামলা দুটির বিচার অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করেছি।”
কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার বিচার চলছে। বিডিআর হত্যামামলার বিচার হয় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ২১ এপ্রিল শুরুর দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে এই দিন ধার্য করেন।
এজলাস পরিবর্তন যদি হয়, তবে বিচারক ও আদালত একই থাকবে বলে জানান এই আইনজীবী।
এজলাস পরিবর্তনের জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
গত ২৩ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সেদিন যা হয়েছিল, তা আইনের শাসন ভেঙে দেয়ার একটা ষড়যন্ত্র।
“অসভ্য দেশ ছাড়া কোথাও আমরা কখনোই দেখিনি, যেখানে আইনজীবীরা এজলাসে উঠে জজ সাহেবকে মারতে যায়। কখনো দেখিনি জজ সাহেব যখন পালিয়ে চলে গেছেন, তখন অকথ্য-কুকথ্য ভাষায় তাকে গালাগালি করেছেন।”
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিএনপির দাবি। অভিযোগ গঠনের প্রতিবাদে দলের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরাও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।