সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য তিন পার্বত্য জেলার অন্তবর্তীকালীন পরিষদের আকার বৃদ্ধির সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Published : 10 Mar 2014, 05:42 PM
এখন থেকে তিন পার্বত্য জেলার প্রত্যেকটির সদস্য সংখ্যা পাঁচজন থেকে ১১ জন হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ‘রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ ও ‘বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ ও ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ ভেটিংসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৈঠকে উপস্থাপন করে।
বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন পরিষদে মাত্র পাঁচ জন সদস্য থাকায় দুটি অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এর ফলে সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ হচ্ছে না এবং বর্তমানে কাজের পরিমানণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা করতে সমস্যা হচ্ছে।”
বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন পরিষদে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য রয়েছে। সদস্যদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ১০ জন হবে।
“১০ জন সদস্যের মধ্যে সাতজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এবং তিনজন অ-উপজাতি থাকবে।”
জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা তিনজন, মারমা একজন, খিয়াং ও লুসিয়ান থেকে এক জন, তঞ্চঙ্গ্যা থেকে একজন এবং ত্রিপুরা একজন থাকবে।
“খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে চাকমা তিনজন, মারমা দু’জন এবং ত্রিপুরা দু’জন।
“বান্দরবান জেলা পরিষদে মারমা দু’জন, তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা থেকে একজন, মুরং একজন, ত্রিপুরা একজন; চাক, খেয়াই ও খুমি থেকে একজন এবং বোম, লুসাই ও পাংখো থেকে একজন সদস্য থাকবে।”
তিনটি পৃথক আইনে (১৯৮৯) পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। নির্বাচিত সেই পরিষদে ৩৪ জন সদস্য থাকার বিধান রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ২০ জন উপজাতীয়, ১০ জন অ-উপজাতীয় ও তিনজন মহিলা সদস্য থাকবে।
“সকল সদস্য প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কথা। তবে আইনে বিধান আছে, নির্বাচিত পরিষদ না থাকলে সরকার অন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠন করতে পারবে।”
আইন সংশোধনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়া পার্তব্য জেলা পরিষদগুলোর অন্তবর্তীকালীন এই ব্যবস্থা স্থায়ী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “স্থায়ী রূপ দেওয়ার ইচ্ছা নেই, আশা করি নির্বাচন হবে।”