যুদ্ধাপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির আদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রণজিত নাথ ওরফে বাবুনাথের বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও তার দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
Published : 15 Dec 2013, 02:55 PM
শনিবার রাতে ফরিদপুর শহরের রথখোলা এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
বাবুনাথ বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে তার লাকড়ির দোকানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। বন্ধ দোকানের বাইরে থেকে দাহ্য কোনো পদার্থ ছুড়ে আগুন দেওয়া হলে লাকড়িতে আগুন ধরে যায়।
“আগুন দেখে পাশের বেকারির কর্মচারী হাবিবুর রহমান ও রমজান সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলায় দোকানের কোনো ক্ষতি হয়নি।”
এরপর রাত পৌনে ১টার দিকে দোকানের কাছে তার বাড়িতেও একটি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় বলে রণজিত জানান।
তিনি বলেন, “বোমাটি বিস্ফোরিত না হয়ে বারান্দায় পড়ে সলতের আগুন এক সময় নিভে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বোমাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।”
এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার চেয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ পরিদর্শক (টিএসআই) তপন দেবনাথ বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়ির বারান্দা থেকে পেট্রোল বোমাটি উদ্ধার করে আলামত হিসোবে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক বলেন, “বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”
একাত্তরে অপহরণ, নিযার্তন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে গত ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদার ‘দুর্বৃত্তের’ হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।