জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে এসে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন এ মামলার সাক্ষী একাত্তরের গেরিলা যোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল।
Published : 17 Jul 2013, 05:37 AM
বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনালের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আশা করছি বদর প্রধান মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলাযুদ্ধে সাহসীকতার জন্য সহযোদ্ধাদের কাছে তথনকার কিশোর জালালের নাম হয়ে যায় ‘বিচ্ছু জালাল’।
যুদ্ধের এক পর্যায়ে আলবদর বাহিনী সুরকার আলতাফ মাহমুদ, বদি, রুমি, জুয়েল ও আজাদকে আটক করে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে রাখা হয়। ৩০ অগাস্ট পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি মুজাহিদ ও সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী সেখানে গিয়ে এক সেনা কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেন, রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আগেই তাদের হত্যা করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পর সহযোগীদের নিয়ে মুজাহিদ আর্মি ক্যাম্পে আটকদের অমানসিক নির্যাতনের পর জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যা করে বলে অভিযোগ এনেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বদর বাহিনীর হাতে অপহৃত সুরকার আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অভিনয় শিল্পী শিমুল ইউসুফও রায় উপলক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে এসেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের বিরুদ্ধে। সকালেই তাকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়েছে।