মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করলেও নিয়োগ বন্ধ রেখে তিন সসদ্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 04 Jul 2013, 05:04 PM
মাউশির অধীনে প্রায় দুই হাজার পদে নিয়োগ নিয়ে ‘বাণিজ্য’ হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার এই তদন্ত কমিটি হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরীকে তদন্ত কমিটির আহ্ববায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সদস্য হিসাবে আছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ এস মাহমুদ ও উপ সচিব সহিদুল ইসলাম।
“কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির এক হাজার ৯৬৫ জন কর্মচারী নিয়োগে কিছুদিন আগে বিজ্ঞপ্তি দেয় মাউশি।
এসব পদে নিয়োগ পেতে প্রায় এক লাখ ৭৬ হাজার আবেদন জমা পড়ে। গত ১৪ ও ২১ জুন নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলেও ফল প্রকাশ করা হয়নি।
এই নিয়োগ নিয়ে কোটি টাকার ‘বাণিজ্য’ হচ্ছে বলে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যদিও মাউশি এসব প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে।
এছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারাও তাদের জড়িয়ে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।