Published : 15 Apr 2013, 07:01 PM
শাহবাগ আন্দোলনকারী নারীদের ‘অমর্যাদাকরভাবে উপস্থাপন’র কারণে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে গল্পলেখক হাসনাত আবদুল হাই ও প্রকাশক প্রথম আলো।
রোববার প্রথম আলোর বাংলা নববর্ষের বিশেষ সংখ্যায় ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ শিরোনামের গল্পটি প্রকাশের পর থেকে আলোচনা শুরু হয় ফেইসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগে।
এরপর সোমবার প্রথম আলো ও হাসনাত আবদুল হাই ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রথম আলো লেখাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। লেখক বলেছেন, তিনি এটি তার কোনো গল্পগ্রন্থে রাখবেন না।
তবে এই ক্ষমা প্রার্থনায়ও সমালোচনার ঝড় থেমে নেই।
গণজাগরণ আন্দোলনের সমর্থক ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেইসবুক পাতায় স্ট্যাটাসে লিখেছেন, একটি চড় মেরে ‘স্যরি’ বললেই কি তা মেনে নেয়া যায়?
এক্ষেত্রে প্রথম আলোকে দায়ী করে তিনি লিখেছেন, “এই লেখাটি কোন ভুলে সম্পাদকের ডেস্ক থেকে ছাপাখানায় গেল? কে কে দায়ী ছিল? তাদের শাস্তি কী হয়েছে?”
চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেইসবুক পাতায় লিখেছেন, “আমি মনে করি না শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ এমন কিছু যে এটার সমালোচনা করা যাবে না। এটার বহু দিক নিয়ে কঠিন সমালোচনা আমারও আছে। সাহিত্যে যৌনতা নিয়েও আমার কোনো এলারজি নাই।শিল্পীর লেখার স্বাধীনতার প্রতিও আমার তুমুল আস্থা।
“তবুও আমার পক্ষে সম্ভব হইলো না হাসানাত হাই-এর গল্পটা হজম করা। এত খেলো, এত যুক্তিহীন, এত কুৎসিত, এরকম প্রপাগান্ডিস্ট লেখা প্রথম আলো কেমনে ছাপল আমার মাথায় আসে না।”
হাসনাত আবদুল হাইয়ের একুশে পদক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন- “হাসনাত আব্দুল হাইয়ের মতো ভয়ানক নারীবিদ্বেষী, অসুস্থ মানসিকতার লোক কি বাংলা অ্যাকাডেমীর পদকপ্রাপ্ত হয়ে থাকবে? বাংলা অ্যাকাডেমীর পদক কী তার কাছে থেকে কলঙ্কিত হতেই থাকবে?”
এই ব্লগারের রোববারের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি ব্যাপক আলোচিত হয়- “হ-তে হাসনাত হাই, তুই রাজাকার-তুই রাজাকার; প-তে প্রথম আলো, তুই রাজাকার-তুই রাজাকার।”
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও ব্লগার বাকী বিল্লাহ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- “প্রথম আলো লেখা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, ক্ষমা চেয়েছে। এটাকে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে ধরে নিচ্ছি।
“ক্ষমা চাইলেই তারা ক্ষমা পেয়ে যাবে এমন নয়, আমি নিজেও ক্ষমা প্রদানের কোনো তাগিদ টের পাচ্ছি না। তবে প্রথম আলো বর্জন করতে চাইলে কাকে গ্রহণ করবো সে সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারি নাই।”
এই ধরনের অসংখ্য সমালোচনা হচ্ছে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।