রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক জানিয়েছে।
Published : 20 Mar 2013, 05:11 PM
রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বুধবার রাতে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎধীন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ সময় বুধবার ৪টা ৪৭ মিনিটে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার শোকবার্তায় বলেন, “জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে জাতি এক কৃতি সন্তানকে হারাল।”
শোক বার্তায় এরশাদ বলেন, “জিল্লুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক গগনের এক ধ্রুবতারার মতো। তিনি ছিলেন আমাদের রাজনীতির এক জীবন্ত কিংবদন্তি।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পৃথক শোকবার্তায় বলেছেন, জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদসহ বিভিন্ন পর্যায়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের গণমানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
জিল্লুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ও প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম হীরা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমিন ও প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই, নৌ-পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
এছাড়াও শোক জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. শাহজাহান মিয়া, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরিন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী, ন্যাপ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ), জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগও শোক জানিয়েছে।
উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, বাম মোর্চা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থা, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট, বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিষদ, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম ও মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমও, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি মো. রকিবুর রহমান পরিচালনা পর্ষদ ও সকল সদস্যদের পক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন এক ঘন্টা পিছিয়ে সাড়ে ১১টায় শুরু করে দুপুর আড়াইটায় শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই।
এছাড়া বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী পরিষদ, দক্ষিণ বাংলা যুব কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, প্রজেক্ট এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ব্র্যাক, একাত্তরে আমরা, বাংলাদেশ সচিবালয় কম্পিউটার কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, উত্তরা সরকারি অফিসার্স ক্লাব কল্যাণ সমিতি শোক জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।
এসব সংগঠন ও সংস্থার বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।