এরপর তারা রামুর ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও বসতি ঘুরে দেখেন এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) শরীফ মোস্তফা করিম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা অধিদপ্তর-২ এর উপ-সচিব মো. জহুরুল ইসলাম।
ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুতে বৌদ্ধবসতিতে রাতভর তাণ্ডব চালায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। রামু উপজেলার সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।
ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৌদ্ধ বসতিতে হামলার ঘটনায় রোহিঙ্গা ছাড়াও দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তারা।
এরপর একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান আবদুল কুদ্দুস মিয়া জানান, তারা ২৫ মার্চ পর্যন্ত রামুতে অবস্থান করবেন। তদন্ত শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা রামু সীমা বিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরোর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার, রামু সাদাচিং, লালচিং, উখিয়ারঘোনা জেতবন বৌদ্ধ বিহার, জাদিপাড়া আর্য্যবংশ বৌদ্ধ বিহার ও রামু মৈত্রী বিহার ঘুরে দেখেন।
অন্যদের মধ্যে রামু সীমা বিহারের প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, বৌদ্ধ নেতা নিতীশ বড়–য়া, তরুণ বড়–য়া ও দুলাল বড়–য়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।