ঢাকা, জুলাই ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং নিবন্ধন ছাড়া ভবিষ্যতে কেউ বিদেশে চাকরি নিয়ে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এজন্য জেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্ধারিত কার্য অধিবেশন শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অধিবেশনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ও শ্রম সচিব মিকাইল শিপার উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে পৌনে ছয় লাখ কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছে। এ বছর এ পর্যন্ত বিদেশে কর্মী পাঠানোর যে গতি রয়েছে, তাতে এই সংখ্যা সাত লাখ পেরিয়ে যাবে।
তবে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা থাকার কথা স্বীকার করেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “অব্যবস্থাপনার কারণেই নির্ধারিত ব্যয়ের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। তাছাড়া কোন কোন জেলা থেকে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে যাচ্ছে, আবার কোথাও হাজারও পেরোতে পারছে না।”
যেসব জেলায় বেশি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানকার লোকজনই বিদেশে বেশি যেতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন।
অব্যবস্থাপনা দূর করতে জেলা পর্যায়ে ডিসি কার্যালয়ের নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে এবং সুচারুভাবে চালিয়ে যেতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নিবন্ধন কার্যক্রম ঠিক থাকলে জনশক্তি পাঠানোর বৈষম্য কমে আসবে। অব্যবস্থাপনা দূর করতে ভবিষ্যতে নিবন্ধন ও এমআর পাসপোর্ট ছাড়া কাউকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।”
নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ
নারী কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মহিলারা গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বিদেশে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। বিদেশে পাঠানোর আগে সরকার বিনামূল্যে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে ডিসিদের দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ছাড়া শ্রম আইন বাস্তবায়নে ডিসিদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মোশাররফ হোসেন।
তার মতে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলাসহ ধর্মঘটের মতো ঘটনা ঘটছে।
“এক্ষেত্রে শ্রম আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়নে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে জনগণের অধিকারও সুরক্ষা হবে,” যোগ করেন শ্রমমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া উভয় দেশের ৩৮টি সীমান্ত জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং জেল ম্যাজিস্ট্রেটদের (ডিএম) প্রত্যেক বছরে দুইবার করে বৈঠক চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/এএল/১৯২০ ঘ.