বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
হাই কোর্ট বিভাগের এই বিচারপতি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ট্রাইব্যুনাল-২ নিষ্ক্রিয় করার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি (আনোয়ারুল হক) ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৫ জুলাই সিঙ্গাপুরের হাসপাতাল থেকে দেশে আনার পর তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল।”
শুক্রবার জুমার নামাজের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি আনোয়ারুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শহীদুল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।”
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ ও তদন্ত সংস্থাও শোক প্রকাশ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮০ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন আনোয়ারুল হক।
১৯৮১ সালে তিনি মুন্সেফ হিসেবে বিচারক জীবন শুরু করেন তিনি। ২০১০ সালে হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি, দুই বছর পর স্থায়ী হন।
বিচারপতি আনোয়ারুল হক সার্ক আরবিট্রেশন কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৮ সাল থেকে কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অব লেজিসলেটিভ কাউন্সেলের সদস্য ছিলেন।