সম্প্রতি দেশের পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে ‘অনুসন্ধান’ কমিটি গঠন করতে বলেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
Published : 12 Jul 2017, 05:59 PM
একই সঙ্গে অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা বন্ধে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চলতি মৌসুমের শুরুতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকার কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দেয়। এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় শতাধিকে, যা ২০০৭ সালের হতাহতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গত কয়েক বছর ধরেই বর্ষায় পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস ঘটছে এবং তাতে প্রাণহানিও হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে গত ২ জুলাই রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করে প্রতিটি পরিবারকে অনতিবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৫৮ সালের আইন অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়কে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় মৌসুমী খাদ্য সঙ্কট নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সার্কেল প্রধান ও জেলা পরিষদের সমন্বয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উদ্যোগে প্রকল্প প্রস্তুত করে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং এম এ আউয়াল অংশ নেন।