লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশন সোমবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওই দুজনের নাম প্রকাশ করেছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিহতদের মধ্যে দুজন ‘ব্রিটেন ও বাংলাদেশের নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে’।
তারা হলেন- হুসনা বেগম (জন্ম ১৯৯৫) এবং রাবেয়া বেগম (জন্ম ১৯৫২)।
তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক তা প্রকাশ না করলেও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুজন গ্রেনফেল টাওয়ারের একই অ্যাপার্টমেন্টে (১৪২ নম্বর) থাকতেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা মিরর’র ২৩ জুনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটিতে আগুন লাগার পর ১৮ তলায় বাবা-মাকে ফেলে না এসে সেখানে থেকে যান তিন তরুণ ভাই-বোন এবং মারা যান তারা।
সেখানে রাবেয়াকে মা, হুসনাকে মেয়ে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কমরু মিয়ার পরিবারের অপর দুই সন্তান হানিফ (২৬) ও হামিদের (২৯) কথা বলা হয়েছিল।
ভবনে আগুন লাগার পর দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে আবেগি কথোপকথনে সেখানে বাবা-মার সঙ্গে থেকে যাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন ওই তিন ভাই-বোন।
লন্ডনের অন্যতম অভিজাত এলাকা বারা অব কেনসিংটন ও চেলসির মধ্যে সামাজিক বঞ্চনার প্রতীক হয়ে ছিল সোশাল হাউজিং ব্লকের এই গ্রেনফেল টাওয়ার।
সেখানে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর দেশজুড়ে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও গরিবদের প্রতি অবহেলা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
লন্ডন পুলিশ বলছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আর কারও লাশ পাওয়া গেলে এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৭৯ ছাড়াতে পারে। আবার নিখোঁজের এই তালিকার কাউকে জীবিত পাওয়া গেলে তা কমতে পারে।