২০০১’র ভোটে ‘র’ ভূমিকা ভারতও স্বীকার করে: হাসিনা

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর হস্তক্ষেপ এখন দেশটির কর্তৃপক্ষও স্বীকার করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাদের ওই ভোটে হারানো হয়েছিল বলে গত মাসে এক অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি যে কথাটা বলেছিলাম, সে কথাটা যে কত সত্য, সেটা তারাও স্বীকার করে। তখন এখানে যিনি (র-এর প্রতিনিধি) কর্মরত ছিলেন, তারই যে ভূমিকা ছিল… তাদের যে ‘র’-এর একটা অংশ ছিল, এটা তো সবার কাছে স্পষ্ট। আর সে লোকগুলো এখন নাইও। এটাও বাস্তবতা।

“একটা দেশের সাথে এটা দেশের সম্পর্ক। একটা ঘটনা যখন ঘটেছে… তারাও স্বীকার করে, তারাও জানে। সে সম্পর্কে তারা যথেষ্ট সচেতন।”

মার্চে ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এখানে যে র’য়ের প্রতিনিধি, সে তো হাওয়া ভবনে (খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক কার্যালয়) বসেই থাকত। আমেরিকা অ্যাম্বাসির লোক, হাওয়া ভবনে বসেই থাকত। এই নির্বাচনটা.. ২০০১-এ সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে হারাবে, আর এখান থেকে গ্যাস নেবে।”

এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাসায় কাদের যাওয়া-আসা ছিল তা সাংবাদিকদের মনে করতে বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আপনারাই একবার চিন্তা করে দেখেন- হাওয়া ভবনে কারা যেত, কারা থাকত, কারা পরামর্শ দিত, কাদের সাথে কাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। মামুনের বাসায় কে সময় কাটাত, কী করত। এ রকম বহু ঘটনা আপনারা ভুলে যান কী করে?”

প্রধানমন্ত্রীর নয়া দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেছেন, আবার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে এই চুক্তি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তার এই বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পাঁচ বছর সময় পাওয়া গেছে। আমি সাধুবাদ জানাই বিএনপি নেত্রীকে, তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য ধরে নিচ্ছেন- আমরা ক্ষমতায় থাকব।

“আশা করি, এটা আমাদের ভোটারদের মধ্যে একটা ভালো প্রভাব ফেলবে।”