পুলিশের মহাপরিদর্শক একে এম শহীদুল হক বলেছেন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মধ্যে জোড়া বিস্ফোরণের পিছনে ছিল মৌলভীবাজারের জঙ্গিরা।
Published : 01 Apr 2017, 01:20 AM
ওই বিস্ফোরণে আহত হয়ে মারা যাওয়া র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একথা বলেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে র্যাব সদরদপ্তরে আজাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।তাকে নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে, যাদের দুজন পুলিশ কর্মকর্তা।
আইজিপি সাংবাদিকদের বলেন, “ওরা মৌলভীবাজারে আস্তান গেড়েছিল।মৌলভীবাজার থেকে গিয়ে এই ঘটনা ঘটাইছে।”
দক্ষিণ সুরমার ‘আতিয়া মহলে’ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যার পর আধা কিলোমিটারের মধ্যে ওই জোড়া বিস্ফোরণ হয়।
আহত একজনের ভাষ্য অনুযায়ী, কালো পলিথিন নিয়ে আসা এক ব্যক্তিকে কয়েকজন আটকে তাতে কী আছে জানতে চাইলে ‘লাল শাক’ থাকার কথা বলেন তিনি। এর পরপরই সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে চার-পাঁচজন আহত হন।
সেনাবাহিনী মঙ্গলবার সিলেটের ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণার পর ১২ ঘণ্টা না যেতেই জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট ও নাসিরপুরের দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ।
দুই দিন অভিযানের পর বৃহস্পতিবার নাসিরপুরের বাড়ি থেকে সাতজনের খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে চার শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ। বোমার বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বড়হাটের বাড়িতে এখন অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে একাধিক জঙ্গি অবস্থান করছেন বলে ধারণার কথা বলেছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে শহীদুল হক বলেন, “মৌলভীবাজারের একটা আস্তানা একেবারে শেষ করে দিয়েছি এবং ওই জঙ্গিগুলির ইয়াদ হইছে। আজকে একটা আস্তানায় অপারেশন করছি, এখানেও তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
“যারা এই পুলিশ ও পাবলিক মারছে তাদের আমরা সাথে সাথে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছি।”
মৌলভীবাজারের এই দুই বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম নামে এক লন্ডন প্রবাসী। বাড়ি দুটির তত্ত্বাবধান করে আসছিলেন তার আত্মীয় জুয়েল।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজ নামের এক ব্যক্তি তিন মাস আগে নাসিরপুরের বাসাটি ভাড়া নেন। ওই বাসার সবাই একই পরিবারের সদস্য।