শনিবার বিকালে রাষ্ট্রপতি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্লাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান।
পরে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ সম্মিলিত মুক্তিযুদ্ধ স্টল, তিন বাহিনীর সম্মিলিত স্টল এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর স্টল পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধ স্টলে পৌঁছালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া শিশু শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা দেখেন আবদুল হামিদ।
সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন, দেশ গঠনে তিন বাহিনীর ভূমিকা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান, বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সজ্জিত এসব স্টলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানরাও সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
“রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এগিয়ে যাবে।”
প্রদর্শনীতে সেনাবাহিনীর ৩২টি, বিমান ও নৌ বাহিনীর ছয়টি করে এবং সম্মিলিত চারটিসহ মোট ৪৮টি স্টল রাখা হয়েছে।
২৪ মার্চ বেলা ১২টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকে। ২৬, ২৭ ও ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন সবাই।
২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের সদস্য ও সেনানিবাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে এই প্রদর্শনী।