পটুয়াখালীর বাউফল থানায় এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের অভিযোগে সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলাম ও ওসি আযম খান ফারুকীকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
Published : 20 Feb 2017, 06:57 PM
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হয়ে ওই ঘটনা নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যের্তিময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, থানা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পাশাপাশি পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং নির্যাতেনের শিকার ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি, এআইজি (শৃঙ্খলা), পটুয়াখালীর এসপি, সার্কেল এএসপি, ও বাউফল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীপক্ষর অপর আইনজীবী ফারুক হোসেন।
দৈনিক জনকণ্ঠে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বাউফলে ওসির রুমে নির্যাতন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, কনকদিয়া ইউনিয়নের কলতা গ্রামের শামসুল হক খানের ছেলে হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আটকের পর থানা হাজত থেকে ওসির রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
বিজয়ের মা জোসনা বেগমের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাউফল থানার এসআই ফেরদৌস ওইদিন সন্ধ্যায় বিজয়কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। রাত ১২টার পর তাকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির রুমে নিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তাকে লাঠি দিয়েও পেটানো হয়।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, তার ছেলের বন্ধু বিজয়ের খবর নিতে পরদিন তিনি বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীকে ফোন করেন। ওসি তাকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। পরে এসে ঘটনাটি শুনেছেন। সার্কেল এসপি ‘নাকি তাকে ২-৩টি বাড়ি দিয়েছেন’।
জনকণ্ঠের ওই প্রতিবেদন যুক্ত করেই হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন বিজয়ের মা জোসনা বেগম।