বাংলাদেশ সফরে যে নিরাপত্তা পেয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
Published : 18 Oct 2016, 10:30 PM
দুই দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এটাই বলতে পারি, যে নিরাপত্তা আমি পেয়েছি তা খুবই চমৎকার।”
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগের মধ্যেই এই সফর করলেন বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কোনো দেশই এখন সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি থেকে ‘মুক্ত’ নয় বলে মন্তব্য করেন জিম ইয়ং কিম।
তিনি বলেন, “বিশ্বে একটি দেশও নেই, যেটা সন্ত্রাসী হামলা থেকে মুক্ত। এটা সমাজের একটি দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা।”
দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক ও নৃতত্ত্ববিদ কিম বিশ্ব ব্যাংকের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট।
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য দেখতে গত রোববার রাতে ঢাকায় আসেন কিম। পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের টানাপড়েনের পর এই সফরে প্রেসিডেন্ট কিমের সঙ্গে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও দেখা যায়।
এবার ‘বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত দিবস’ কিম ঢাকাতেই পালন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার অভিজ্ঞতা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দিতে বিশ্ব ব্যাংক একটি ‘মাল্টি-ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে বলে জানান কিম।
বাংলাদেশকে নতুন করে তিন বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট। এর ১ বিলিয়ন ডলার শিশু অপুষ্টি দূর করতে এবং বাকিটা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায়।
সফর শেষে মঙ্গলবার রাতেই কিমের ওয়াশিংটনে ফেরার কথা রয়েছে।