সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ নেওয়া হচ্ছে তার জন্মস্থান কুড়িগ্রামে।
Published : 28 Sep 2016, 02:49 PM
বুধবার জোহরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এই লেখকের জানাজা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে সকাল ১০টায় ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে লেখকের মরদেহ নেওয়া হয় তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে জানাজা শেষে কফিন নিয়ে আসা হয় বাংলা একাডেমিতে।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংস্কৃতিকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন চলে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য কবি মুহাম্মদ সামাদ জানান, বেলা ৩টায় কুড়িগ্রামে জানাজার সময় নির্ধারিত রয়েছে।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী জানান, গত বছর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৈয়দ হক এই মাটিতেই শায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়।