মাঝারি ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় সংসদে বিল

মাঝারি ও ‘অতি ক্ষুদ্র’ শিল্পেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিসিকের পৃষ্ঠপোষকতার সুযোগ তৈরি করতে ১৯৫৭ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 04:26 PM
Updated : 25 July 2016, 04:26 PM

সোমবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি মাঝারি ও মাইক্রো বা অতিক্ষুদ্র শিল্পেও যাতে বিসিক সহায়তা দিতে পারে- সে সুযোগ সৃষ্টি করতেই এ আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়, বিসিক চাইলে এর আওতাধীন কোনো কোম্পানির ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশন করতে পারবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করতে পারবে।

প্রস্তাবিত আইনে বিসিকের বোর্ডের পাশাপাশি কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যমান বিসিক আইনে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে সহায়তা দানের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল। এর পাশাপাশি মাঝারি ও মাইক্রো শিল্পসমূহকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।”

বর্তমানে বিসিক এর ব্যবস্থাপনায় ৭৪টি শিল্পনগরীতে পাঁচ হাজার ৭১৪টি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৫৫ হাজার।

শিল্পনগরীর বাইরে বিসিকের পৃষ্ঠপোষকতায় নয় লাখ ৩০ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেসব কারখানায় প্রায় ৩৬ লাখ ১৪ হাজার লোক কাজ করছে।