শনিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “২০০৩ সালে সারা দেশের ২৭১টি উপজেলার ৫০ লাখ নলকূপে আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১৪ লাখ ৫০ হাজার বা ২৯ শতাংশ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে।”
আর্সেনিক ঝুঁকি কমাতে পল্লী এলাকায় প্রতি ৮৮ জনের জন্য একটি নিরাপদ পানির উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
“পানি সরবরাহের কভারেজ এলাকা ৮২ শতাংশ বেড়ে ৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টির বেশি গ্রামকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আনা হয়েছে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, গত ১৫ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩ লাখ পানির উৎস তৈরি করেছে। এর মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজারটি আর্সেনিক সমস্যাযুক্ত এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে।
এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাজধানী ঢাকাকে সুন্দর, আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ ২০৪০ সালে শেষ হবে।”
নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চলতি বছর এপ্রিলে বাংলাদেশে আর্সেনিক সমস্যা নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, আর্সেনিক দূষণজনিত রোগে এখানে প্রতি বছর প্রায় ৪৩ হাজার লোক মারা যায়।
তবে এই প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে আর্সেনিক দূষণজনিত রোগে বাংলাদেশে কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর নাকচ করে দিয়েছে সরকার।