মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর উল্লাস প্রকাশ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
Published : 11 May 2016, 12:50 AM
বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতা নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মী-সমর্থকরা মধ্যরাতে এই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যদণ্ড কার্যকরের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে ওঠেন।
সব আইনি লড়াইয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বদর নেতা নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে নিজামীর রায় কার্যকরকে সামনে রেখে রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে স্লোগান ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চ।
রায় কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অবস্থান চলার কথা জানিয়েছিলেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
সেসময় ইমরান একাত্তরের যুদ্ধকালীন সময়ে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের এই বাংলাদেশ প্রধানের ফাঁসির রায় কার্যকর করাকে ন্যায়বিচারের পথে ও আইনের শাসনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেন ।
নতুন প্রজন্মের কাছে এই রায় ‘নতুন শক্তি’ হিসেবে কাজ করবে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, “আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এই রায় কার্যকর একটি শক্তি হয়ে থাকবে যে, ৪৫ বছর পরও আমরা খুনিদের রক্ষা করিনি।
“এতো বছর পরও দেশের সন্তানদের রক্তের মর্যাদার জন্য আমরা লড়াই করেছি, আপোষ করিনি। যারা মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
একাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের উত্তরসূরীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান ইমরান।
তিনি বলেন, “একাত্তর যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে যে রক্তের লালসা ছিল একাত্তরের পরেও তাদের ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে রক্ত নেওয়ার ধারায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
“ক্রমাগত রক্ত নিচ্ছে তারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গিয়ে রাজপথে ২৪ জন সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের পিতামহ, প্রপিতামহদের রক্ত নিয়েছে। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামার পরও তাদের রক্তের নেশা থামেনি।”
এখন যুদ্ধাপরাধীরা জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর নীলনকশায় নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে নানা ধরনের হত্যাকাণ্ডে নেমেছে বলেও মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।