যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
Published : 10 May 2016, 08:22 PM
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান কামাল একইসঙ্গে বলেছেন, ক্ষমা না চাওয়ায় নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আদেশ কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
স্বজনদের ডেকে পাঠানো এবং কারাফটকে নিরাপত্তা জোরদারের মধ্যে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ইঙ্গিত মিললেও কোনো স্পষ্ট ঘোষণা দিনভর পাওয়া যাচ্ছিল না।
রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। মধ্যরাতে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
নিজামীর আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে একই কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও এম কামরুজ্জামানের।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সংবিধান অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি কারও প্রাণদণ্ড মওকুফ করার অধিকার রাখেন।
কাদের মোল্লা ও কামরুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেননি। মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয় সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাতে শেষ দেখা করে বেরিয়ে স্বজনদের কেউ সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।
রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি নিজামীকে সোমবার শোনানো হয় বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।