শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গৃহ শ্রমিকদের ৫ম জাতীয় সম্মেলনে উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
মেনন বলেন, “গৃহকর্মীদের প্রতি সমাজের অনেকেরই দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা আছে। যার কারণে পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি সচিবের বাড়িতে গৃহকর্মীকে নির্যাতন, গায়িকার বাসায় গৃহকর্মীর নির্যাতন।এই দৃষ্টিভঙ্গি পরির্বতন করতে হবে সবাইকে।”
এবিষয়ে ২০১৫ সালের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতির প্রসঙ্গ টেনে সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী গৃহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনাদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে এই নীতিমালা প্রণয়ণ করা সম্ভব হয়েছে।
“.. (এটাকে) আইনে পরিণত করতে একটু সময় লাগবে। এই সময়ে আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী হাজিরা দিবেন ও কাজ করবেন; এটাকে মেনে চলবেন।”
মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের অনেক গৃহশ্রমিক কাজ করে। প্রতি ব্ছর শ্রমিক যাচ্ছে সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও হংকংসহ অনেক দেশে।
জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এই সমাবেশে আর্ন্তজাতিক গৃহশ্রমিক ফেডারেশনের (আইডিডাব্লিউএফ) সাধারণ সম্পাদক এলিজাবেথ ট্যাং বলেন, এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্য বাংলাদেশে গৃহশ্রমিকদের নীতিমালা আছে।
“এটা যেমন এদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যান্য দেশের শ্রমিকরাও উৎসাহিত হবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংসদ্য সদস্য ইসরাফিল আলম, শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আবুল হোসাইন ও মোস্তাফা আলমগীর রতন বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আঞ্জুমান আরা বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আক্তার নাহার।