যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চক্রান্তে জড়িত ‘আরও অন্তত তিনজনের নাম’ শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
Published : 24 Apr 2016, 12:18 PM
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
ওই তিনজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।
তবে তারা তিনজনই বাংলাদেশি জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। তাদের কেউ প্রবাসে, কেউ বাংলাদেশে থাকে।”
সজীব ওয়াজেদ সম্পর্কিত ‘ফাইল’ পেতে এক এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় প্রবাসী এক জাসাস নেতার ছেলের কারাদণ্ডের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার শফিক রেহমানের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড চলছে।
প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের মধ্যেই শফিক রেহমানকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসা থেকে ‘এফবিআইয়ের সেই গোপন নথি’ উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রেহমান ‘এফবিআই এজেন্টকে দেওয়া অর্থের উৎস সম্পর্কে’ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
“প্রথমে জানতাম অল্প অর্থ দেওয়া হয়েছে। শফিক রেহমান জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জয় সম্পর্কিত তথ্য পেতে ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে।
“কিছু অর্থ তিনি নিজের নামে দিয়েছেন। আর বাকি ডলার কোথা থেকে এসেছে তাও বলেছেন।”
শফিক রেহমানের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানান মনিরুল।
প্রথম দফা রিমান্ড শেষে তাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে আনার কারণ জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, “তার কাছ থেকে যেসব ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো সম্পর্কে আরও জানতে এবং অসম্পূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে ফের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
“এছাড়া যে ডকুমেন্ট পাওয়া গেল তা কীভাবে, কার মাধ্যমে এলো এবং কোথায় কোথায় গেছে ও তাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।”
গত শতকের ৮০ এর দশকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন সম্পাদনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া শফিক রেহমানের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের ‘নোংরা’ কূটকৌশলের অংশ হিসেবে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি তথ্য পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।