ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে নানা মহলের সমালোচনার মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, কিছু পত্রিকায় ও টিভি টক শোতে সংস্থাটি সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ আলোচনা চলছে।
Published : 04 Apr 2016, 10:03 PM
পরবর্তী চার ধাপের নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য করতে সবার সহযোগিতাও চেয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সোমবার রাতে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসির অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, ভোট কেন্দ্রে সহিংসতা বন্ধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং সতর্ক করা হয়েছে।
“এর মানে এই নয় যে, নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেল। কারণ একইসঙ্গে তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে যে, এই দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন করলে বা ব্যর্থ হলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে ইসি বলেছে, প্রথম দুই ধাপেই কেন্দ্র বন্ধের হার খুবই নগণ্য- এক শতাংশরও কম; যা এ ঘটনাগুলিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই দৃশ্যমান করে। প্রথম পর্যায়ে ৭৫% এবং ৭৮.৫% ভোট প্রদান অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করে।
কমিশন বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য রাজনৈতিক দল ও তাদের কর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্ট সবারই দায়িত্ব রয়েছে। ইসি প্রতিনিয়ত উন্নত মানের নির্বাচন করার জন্য সচেষ্ট রয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।
“নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আগামী নির্বাচনগুলিতেও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। কমিশন আশা করে, সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় কমিশন পরবর্তী পর্যায়ে আরও অধিকতর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইউপি ভোটের তফসিলের পর সহিংসতায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।এ নিয়ে ইসির সমালোচনা চলছে সর্বত্র।
গত ২২ মার্চ ও ৩১ মার্চ দুই ধাপের ইউপি ভোট শেষ হয়েছে। ৪ জুন পর্যন্ত আরও চার ধাপে ভোট হবে।