পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে নারীদের যৌন নিপীড়নের মামলাটি পুলিশের তদন্ত ব্যুরোকে দিয়ে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 23 Feb 2016, 01:51 PM
বর্ষবরণে যৌন নিপীড়ন: স্বীকারোক্তি ‘দেননি’ কামাল
বর্ষবরণে যৌন নিপীড়ন: কামাল রিমান্ডে, পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে মামলা
৮ নিপীড়ক চিহ্নিত, পরিচয় জানালে লাখ টাকা
ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানা পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে অমীমাংসিত অবস্থাতেই আলোচিত এ মামলার পরিসমাপ্তি ঘটে।
কিন্তু ঢাকার চকবাজার থেকে মো. কামাল নামের একজনকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাশ গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করেন। সে বিষয়ে শুনানির জন্যই মঙ্গলবার দিন রেখেছিল আদালত।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহমুদা আক্তার মামলাটি নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে আদালতকে বলেন, “পুলিশকে দিয়ে করালে তদন্ত সঠিক হবে না। এজন্য নতুন কোনো সংস্থাকে দিয়ে এটি করাতে হবে।”
গতবছর ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষের উৎসবের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের ওপর চড়াও হয়।
প্রথমে পুলিশ ঘটনাটি এড়াতে চাইলেও বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের দাবির মুখে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা এবং তদন্তের উদ্যোগ নেয়।
এরপর ১৭ মে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে আট নিপীড়কের ছবি পাওয়ার কথা জানান পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন তিনি।
তবে ঘটনার আট মাস পর গত ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস ঢাকার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, পুলিশ অপরাধী কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
চলতি বছর জানুয়ারিতে কামালকে গ্রেপ্তারের পর মামলা চালু না থাকায় তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য কামালকে আদালতে নেওয়া হলেও তিনি স্বীকারোক্তি দেননি বলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।