পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের যে কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়া গেছে।
Published : 02 Feb 2016, 12:46 AM
দেশটিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সোহরাব হোসেন সোমবার মধ্যরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে দুপুরে ডিবি আটক করার পর বিকালে নিখোঁজ হন ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস উইংয়ের পার্সোনাল স্টাফ (পিও) জাহাঙ্গীর হোসেন।
হাই কমিশনার সোহরাব হোসেন রাত দেড়টার দিকে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৫ মিনিট আগে জেনেছি যে সে নিরাপদে ফিরেছে।”
জাহাঙ্গীরকে কী ধরে নেওয়া হয়েছিল, নিলে কারা নিয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার সঙ্গে কথা না বলে এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।”
ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের প্রেস সেকশনের অ্যাসিটেন্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি আবরার আহমেদ খানকে দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
তার কাছে অবৈধভাবে রাখা ভারতীয় রুপি পাওয়া গিয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান হাই কমিশন এই ঘটনার নিন্দা জানায়।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশন কর্মকর্তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে সোমবার দূতাবাসকর্মীদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটল।
পাকিস্তান হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অপবাদ ও মিডিয়া ট্রায়ালের’ পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এভাবে হেনস্তার করার এই ধরনটি দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের দূতাবাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছে পুলিশ।
জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
জঙ্গি ‘যোগসাজশের’ অভিযোগ ওঠার পর ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে গত বছরের শেষ দিকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বাংলাদেশের এক কূটনীতিককে সে দেশ থেকে ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানায়।