রাজধানীর আদাবর থানার এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন যুবদলের এক নেতার স্ত্রী।
Published : 01 Feb 2016, 01:03 AM
উপ-পরিদর্শক রতন কুমার হাওলাদার রোববার বিকালে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে পথ আটকে লোকজনহীন একটি দোকানে নিয়ে ‘অশ্লীল’ কথা বলার পাশাপাশি তার গায়ের জ্যাকেট খুলতে বাধ্য করেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেছেন।
আদাবর থানা যুবদলের ওই নেতা গত বছর বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ক্লাস শেষ করে বিকালে রিকশায় করে শিয়া মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে এসআই রতন তার পথ আটকায় বলে জানান তিনি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে একটি দোকানের ভিতরে নিয়ে যান। দোকান থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে শাটার টেনে দেন। তিনি বারবার তার স্বামীর অবস্থান জানতে চান। না বললে ইয়াবা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান।
“আমি বারবার মহিলা পুলিশ বা আশপাশে কোনো মহিলার সামনে অথবা থানায় নিয়ে তল্লাশি করার অনুরোধ জানালেও সে তা করেনি। এ সময় অশ্লীল কথাবার্তা ছাড়াও উনি আমাকে হোটেলের পতিতা এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন।”
এসআই তার স্ত্রীর শরীর থেকে জোর করে জ্যাকেট খুলিয়ে সেই জ্যাকেট হাতে নিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই যুবদল নেতা।
তবে ওই নারীকে হয়রানির অভিযোগ করে অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক রতন বলেন, “তার স্বামীকে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
“মামলার সূত্র ধরেই তিনি থানায় আসায় পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের কারণে রোববার হঠাৎ দেখা হওয়ায় রিকশা থামিয়ে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাই। এর চেয়ে বেশি কিছু না। স্বামী সাভারে আছে জানিয়ে সে চলে যায়।
“আমার বিরুদ্ধে হয়রানির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
তবে ওই যুবদল নেতা বর্তমানে জামিনে আছেন এবং তার নামে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই বলে স্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তা রতন।