উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৭শ’ ইউনিয়নে ভোটের সংশোধিত বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।ভেটিংয়ের পর তা চূড়ান্ত হলে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ওইসব ইউনিয়নে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
Published : 19 Jan 2016, 12:11 AM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠানে সংশোধিত বিধিমালা ‘অনুমোদনের জন্য’ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
“আচরণবিধি যাবে ১৯ জানুয়ারির পর। দু’টো বিধি চূড়ান্ত হলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
চলতি বছরের ১০ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজও।
“মার্চের শেষে নির্বাচন করতে হলে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে তফসিল দিতে হবে।”
তিনি জানান, সংশোধিত বিধিমালায় ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর’ না রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
“আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বিধিমালা চূড়ান্ত হয়ে এলে তফসিলের আগে তা গেজেট আকারে জারি করা হবে।”
এদিকে প্রাক-প্রস্তুতি সমন্বয় সভায় মার্চের শেষদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে’ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির উপ সচিব সামসুল আলম।
“হালনাগাদ ভোটার তালিকার সিডি তৈরির পাশাপাশি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রণয়ন, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতি ও নির্বাচন নির্দেশিকা প্রস্তুতিসহ যাবতীয় কাজের কর্মপরিকল্পনা হয়েছে।”
সভায় পৌরসভা ভোটের দূর্বলতাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ইসির এ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
“মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা ও ইসি সচিবালয়ের কাজের সমন্বয় সঠিকভাবে করতে বিশেষ দৃষ্টি থাকবে আমাদের। যেন গতবারের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়।”
এবারের নির্বাচনে ৪৪ লাখ নতুন ভোটার অংশ নিতে পারবেন বলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন নিশ্চিত করেছেন।
“৩১ জানুয়ারি নাগাদ হালনাগাদসহ ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এরমধ্যে ইউপিতে অন্তর্ভূক্তরা চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ভোট দিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার প্রস্তুতি রাখা হবে।”