অনুসরণ করা হচ্ছিল ওই বিদেশিকে: প্রত্যক্ষদর্শী

গুলশানে কূটনীতিক পাড়ায় বিদেশিকে গুলি করার আগে দুই ব্যক্তি অনুসরণ করছিলেন বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2015, 03:54 PM
Updated : 28 Sept 2015, 05:47 PM

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে চেজারে তাভেল্লা নামে ওই ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন চেজারে তাভেল্লা।

রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শী সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে, যিনি চেজারে তাভেল্লাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, টিশার্ট ও থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পরা ওই বিদেশি নাগরিক ৯০ নম্বর সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন।

নিহত চেজারে তাভেল্লা

চেজারে তেভাল্লাকে যেখানে গুলি করা হয়েছে তার অল্প দূরত্বের মধ্যে গভর্নরের ভবন এবং কাছেই পাকিস্তান দূতাবাস।

ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিসেসের এরিয়া ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালনরত মোশাররফ বলেন, “দুই ব্যক্তিকে ওই বিদেশি নাগরিকের পেছনে যেতে দেখেছি। সম্ভবত তারা তাকে অনুসরণ করছিল; আর ৮৩ নম্বর রোডে জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের ভবনের সামনে মটরসাইকেলসহ দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। তবে সড়কবাতি নেভানো থাকায় তাদের চিনতে পারিনি।

“কিছুদূর এগোনোর পর পেছনে থাকা ওই দুই ব্যক্তির কেউ একজন গুলি ছোড়ে। পরপর তিনটি গুলির শব্দ আমি শুনেছি।”

ঘটনাটি ছিনতাই ছিল না বলেই ধারণা মোশাররফের।

তিনি বলেন, “সম্ভবত পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। কারণ ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকলে তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র তারা নিয়ে যেত, তবে এমনটি ঘটেনি। মোবাইলসহ সব কিছুই সেখানে পড়ে ছিল।”

এই হত্যাকাণ্ডের পর সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।