টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক রবিউল ইসলাম জানান, হবিগঞ্জ থেকে শনিবার রাত ২টার দিকে তাদের কেন্দ্রে ওই কিশোরকে আনা হয়।
২৬ অগাস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এক স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় মারধরের ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।
এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিরা গত শুক্রবার দুপুরে ছেলেটিকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মো. ওমর ফারুক জানান, গ্রেপ্তার ওই কিশোরকে সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার জন্য শনিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। কিন্তু ওই দিনই শুনানির পর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আতাব উল্লাহ।
ছেলেটি হবিগঞ্জের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। আর মেয়েটি পড়ে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের আষ্টম শ্রেণিতে। দুজনেরই বাসা শহরের রাজনগর এলাকায়।
ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘বখাটে’ ছেলেটি তার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি ছেলেটির পরিবারকে জানানো হলেও তারা তাকে সামলে রাখতে পারেননি।
আটক কিশোর থানায় সাংবাদিকদের বলে, মেয়েটির এক আত্মীয় কয়েক দিন আগে স্কুলের সামনে তাকে চড়-থাপ্পর মারে। এ কারণে ক্ষোভ থেকে সে ওই ঘটনা ঘটায়।
ফৌজদারী অপরাধে আটক ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় তিন শতাধিক কিশোর বর্তমানে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রয়েছে। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়।