শুক্রবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিরা ছেলেটিকে আটক করে পুলিশে দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।
তার অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় গত ২৬ অগাস্ট বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েটিকে মারধর করে ছেলেটি।
ছেলেটির একজন সহপাঠী ওই ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং তা ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এম সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে মানববন্ধন করে বখাটে ওই কিশোরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় হবিগঞ্জের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে।
তার আগেই শহরের রাজনগর এলাকা থেকে ওই কিশোরের মামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মুরুব্বিরা ছেলেটিকে ধরে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে বলে ওসি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছেলেটি থানায় আটক থাকা অবস্থায় মেয়ের বাবা নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
“ওই ছেলেসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে এতে আসামি করা হয়েছে। ছেলেটিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
ওসি জানান, ছেলেটি হবিগঞ্জের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। আর মেয়েটি পড়ে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে। দুজনেরই বাসা শহরের রাজনগর এলাকায়।
ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেন, বখাটে ছেলেটি তার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি ছেলেটির পরিবারকে জানানো হলেও তারা তাকে সামলে রাখতে পারেননি।
আটক কিশোর থানায় সাংবাদিকদের বলে, মেয়েটির এক আত্মীয় কয়েক দিন আগে স্কুলের সামনে তাকে চড়-থাপ্পর মারে। এ কারণে ক্ষোভ থেকে সে ওই ঘটনা ঘটায়।
তবে পেছন থেকে কে ওই ঘটনা ভিডিও করেছে তা জানে না বলে দাবি করে ছেলেটি।