বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে বলে জানান চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম
চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ থানা ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।
আসামি জাহিদ হোসেন সরকার (২৫) রাঙামাটি জেলায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি হাজীগঞ্জ টোরাগর এলাকার আনিসুর রহমান সরকারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার এসআই সুধাংশু শেখর হালদার জানান, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করা ওই তরুণীর এক বছর আগে কচুয়ায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী ইতালি চলে যায়।
এরপর ফেইসবুকের মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল জাহিদ হোসেন সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলে জানান এসআই সুধাংশু।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ২৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কচুয়ায় শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে ওই তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় জাহিদ। পরে জেলা পুলিশ লাইনের পাশে একটি চারতলা বাড়িতে প্রায় একমাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
“ওই তরুণীর স্বজনরা অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরে পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ অগাস্ট রাঙামাটি থেকে তাকে উদ্ধার করেন।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ২৮ অগাস্ট চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই তরুণীর বাবা অভিযোগ করলে আদালত তা মামলে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানাকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় বলে জানান এসআই।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।