রাজধানীর বাড্ডায় গুলি চালিয়ে সরকার সমর্থক তিনজনকে হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 16 Aug 2015, 07:19 PM
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মনিরুল বলেন, “বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা কী কারণে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করল, গ্রেপ্তারের পর তা সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে।”
যাদের নাম জেনেছেন, তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে রাজি হননি এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
বাড্ডার আদর্শনগর পাম্পের কাছে বৃহস্পতিবার আড্ডাস্থলে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ঢাকা মহানগর (উত্তর) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসু মোল্লা এবং উত্তর বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ আহমেদ মানিককে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনটি কারণে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। সেগুলো হলো, নিহতদের সঙ্গে কারও ব্যবসায়িক বিরোধ, গরুর হাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব অথবা লেনদেন নিয়ে কোনো ধরনের মতবিরোধ।
“খুনিদের গ্রেপ্তার করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে,” বলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।
হত্যাকাণ্ডের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেছেন।
বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ না করা হয়নি।