মাছ চুরির অভিযোগে মঙ্গলবার তালতলী উপজেলায় রবিউল আউয়ালকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের দাবি।
রবিউল উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামের দুলাল মৃধার ছেলে। স্থানীয় ফরাজি বাড়ি দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতার জানান, মঙ্গলবার বিকালে আমখোলা গ্রামের খালের পাড় থেকে রবিউল আউয়ালের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপরে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করার পর পুলিশ প্রধান আসামি মিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে গ্রামের এক কিশোর আমখোলা গ্রামের খালপাড়ে রবিউলের লাশ দেখে তাদের বাড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশ রবিউলের বাবা দুলাল মৃধার উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে।
রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা বলেন, বাড়ির পাশের লুতরার খালে জাল পেতে মাছ ধরেন তাদের প্রতিবেশী মিরাজ। দুদিন আগে জাল থেকে মাছ চুরি হওয়ায় রবিউলকে সন্দেহ করেন মিরাজ।
“ওই দিনই সে (মিরাজ) বলেছিল রবিউলকে হাতেনাতে ধরতে পারলে মেরে ফেলবে।”
মিরাজই তার ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে দুলাল মৃধার অভিযোগ।
রবিউলের ফুপাত বোন সাহিদা বলেন, “রবিউল নাকি জাল থেইকা মাছ ছাড়াইতে গেছে। পরে মিরাজ ওরে শাবল দিয়া পিটান মারছে। শাবল দিয়া পিটান মাইরা ওর একটা চোখ ডাবাইয়া ফালাইছে। কপালেরও অর্ধেক ফালাইয়া দিছে।”
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, “আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।”
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে সামিউল আলম রাজন নামের এক শিশু পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক। ওই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে তারা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে সারা দেশে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
আর গত সোমবার রাতে খুলনা নগরীর টুটপাড়ায় একটি গ্যারেজে মলদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় মো. রাকিব নামে ১২ বছর বয়সী আরেক শিশুকে।