মুন্সীগঞ্জের এএসপি (সার্কেল) মো. শামসুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
শামসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে উত্তাল পদ্মায় বালুবাহী ট্রলার ডুবে যায়।
ঘটনার পর পর ফোনে তিনি দুটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার কথা জানালেও পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি ট্রলার ডুবেছে বলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান।
শামসুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ট্রলারটিতে শ্রমিকসহ অন্তত ৩০ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পুলিশ ও স্থানীয়রা স্পিড বোট নিয়ে ২৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।”
ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলার সামাইদা গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮), সুধারপুর গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে সোহেল (২৫) ও চাঁদপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জাকির (৩২)।
পুলিশ কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, বড় আকারের স্টিলের ইঞ্জিনচালিত বালিবাহী নৌকাদুটি ফরিদপুরের মধুখালী থেকে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীর একটি ইটভাটার দিকে যাচ্ছিল।
“বৈরী আবহাওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একটি ট্রলার ডুবে যায়। আরেকটিকে এর চালক তীরে ভেড়াতে সক্ষম হন।”
এর আগে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খালেকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখনও দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা পৌঁছেনি, স্থানীয়ভাবে উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু পদ্মা উত্তাল এবং বৃষ্টি থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে।
উদ্ধারকৃত যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন- একটি ট্রলারের চালক মো. সেকান্দার আলী (৩৫), মিস্ত্রী আবু বকর (৩৫), শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস (৪২), শহিদুল ইসলাম (৩২), মোজাম্মেল হক (৩০), হেলাল উদ্দিন (৩৭), শাহ আলম (২৮) ও আব্দুল জব্বার (৩৪)। এদের সবাই বাড়ি সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা।
কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশনের সাব-ল্যাফটেনন্ট হাসানুর রহমান জানান, উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বড় স্পিডবোট ইতিমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি, প্রচণ্ড স্রোত, ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।