জাফরুল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করে দণ্ড মাফ

নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আদালত অবমাননার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড মওকুফ করেছে আপিল আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 03:49 AM
Updated : 28 July 2015, 01:03 PM

সেইসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহকে আদালত সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান।

জাফরুল্লাহর ক্ষমার আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেয়।

আদেশে বলা হয়, ‘কনভিকশন ইজ কোয়াশড’। জাফরুল্লাহ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের পর রেজাক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ওই আবেদন আদালত গ্রহণ করেছেন। সতর্ক করে দিয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন।”

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার দণ্ড বাতিল করেছেন। ভবিষ্যতে বিচারক ও বিচারবিভাগ সম্পর্কে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক করে দিয়েছেন।”

ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেওয়ায় গত ১০ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সাজা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শাস্তি হিসাবে তাকে এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে জাফরুল্লাহ  সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে গেলে বিচারক অর্থদণ্ডের আদেশের  কার্যকারিতা ৫ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

সোমবার বিষয়টি আপিল বেঞ্চে উঠলে জাফরুল্লাহর আইনজীবী জানান, তিনি ক্ষমা চেয়ে আবেদন করবেন। এরপর আদালত আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন রাখে।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের আদেশের পর এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি এক ঘণ্টা দণ্ড ভোগ করেছেন। কাগজে কলমে ওই দণ্ড রইল না। আর জরিমানা দেওয়া থেকে তিনি অব্যাহতি পেলেন।”

এর আগে টকশো’তে মন্তব্যের কারণে আরও একবার অবমাননার অভিযোগে জাফরুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে জবাব দিতে হয়েছিল। আর ১০ জুন সাজার আদেশের পর বাইরে এসে বিচারকদের নিয়ে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি অবমাননার মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।