যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি নির্মাণকর্মীদের ধর্মঘট, বাইডেনের একাত্মতা

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একযোগে ধর্মঘটে নেমেছে মোটর কোম্পানি ফোর্ড, জিএম, স্টেলান্টিসের কর্মীরা। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার মধ্যে আছে বেতন বাড়ানোও।

শুক্রবার থেকে এই তিন কোম্পানির কারাখানাগুলোতে কর্মরত প্রায় ১৩ হাজার কর্মী ধর্মঘটে নেমেছে। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

তিন কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন শ্রমচুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছে না ধর্মঘটি শ্রমিক সংগঠন ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের। ইউনিয়ন ও অটোকর্মীরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার কারণেই এ ধর্মঘট।

ধর্মঘটে নামা কর্মীদের সমর্থনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি শ্রমিকদের হতাশা অনুধাবন করতে পারেন। তাদের ন্যায্য পাওনার অধিকার আছে। বাইডেন বলেন, কোম্পানিগুলো উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, রেকর্ড করপোরেট মুনাফা নিশ্চিত করতে তাদের আরও এগিয়ে আসা উচিত। অর্থাৎ, কর্মীদের জন্য রেকর্ড চুক্তি নিশ্চিত করা উচিত।

ফোর্ড মোটর কোম্পানি, জেনারেল মোটরস এবং স্টেলান্টিসের সঙ্গে ইউনিয়নের বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হয়। নতুন চুক্তি না হওয়ায় শুক্রবার থেকে কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করে। কোম্পানিগুলোর ১৪০,০০০’র বেশি কর্মীর প্রতিনিধি হিসাবে ধর্মঘটে নামা অটোকর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আলোচনা কোনপথে এগুচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে তারা তাদের আন্দোলন আরও কঠোর করতে পারে।

অন্য নানা সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য চার বছরের চুক্তিতে ৪০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি করেছেন ধর্মঘটি কর্মীরা। অপরদিকে, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা অনেক বেশি বেতনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রমিক ইউনিয়ন বলছে, তাদের অনেকেই গত বছর ২ কোটি ডলার বেতন ভাতা পেয়েছেন। অথচ বর্তমানে গাড়ি কারখানাগুলোতে একজন পূর্ণকালীন কর্মী ঘণ্টায় মোটামুটি ৩২ ডলার মজুরি পান। অস্থায়ী কর্মীরা মজুরি পায় আরও কম।

ধর্মঘটের প্রভাবে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোতে বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা করা হচ্ছে, যার প্রভাবে বাড়তে পারে গাড়ির দাম। সংবাদ সূত্র: বিবিসি

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)