ফিলিপিন্সে বন্যা, ভূমিধসে ৪২ মৃত্যু

উদ্ধারকারীরা রাবারের ডিঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেওয়া কিছু মানুষকে উদ্ধার করে। ছবি: রয়টার্স

ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাগিন্দানাও প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৬ জন নিখোঁজ রয়ে ছে বলে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

শুক্রবার বাংসামোরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগিব সিনারিমবো ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, এগিয়ে আসতে থাকা ক্রান্তীয় ঝড় নালজির প্রভাবে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে, এতে মাগিন্দানাও প্রদেশের দুটি শহর বন্যা ও ভূমিধসের শিকার হয়েছে।

তিনি জানান, প্রবল বৃষ্টির কারণে তিন লাখ বাসিন্দার শহর কোতাবাতো জলমগ্ন হয়ে পড়ে আর এর আশপাশের গ্রামীণ জনপদগুলোতে হড়কা বানের সৃষ্টি হয়; এতে রাতের বেলা পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ, পাথর ও কাদার স্রোত নেমে আসে।

মেয়র, গভর্নর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে সিনারিমবো বলেন, দাতু ওদিন সিনসুয়াত শহরে পানিতে ডুবে এবং ভূমিধসে ২৭ জন মারা গেছে, দাতু ব্লাসিনসুয়াত শহরে ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের এবং উপি শহরে মারা গেছে ৫ জন।

এছাড়া, ব্লাসিনসুয়াতে ৬ জন এবং উপি শহরে ১০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলেও জানান সিনারিমবো।

উদ্ধারকারীরা নিকটবর্তী দাতু ওদিন সিনসুয়াত শহরের একটি গ্রামে ভূমিধসে চাপা পড়ে নিহত অন্তত ১১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। ছাদে আশ্রয় নেওয়া অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে দুর্যোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

“ভোরের আগে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এই প্রথম আমাদের এখানে এমন কিছু হল,” বলেন সিনারিমবো।

তিনি জানান, উদ্ধারকারীরা রাবারের ডিঙ্গি নিয়ে ছাদগুলোতে আশ্রয় নেওয়া কিছু মানুষকে উদ্ধার করেছে।

সিনারিমবো জানান, কিছু এলাকায় পানি কমলেও কাতাবাতো শহরের ৯০ শতাংশ পানির নিচে তলিয়ে আছে, উজানে ভারি বৃষ্টি হতে থাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এখানে আরও বন্যা দেখা দিতে পারে।

মোট কতো লোক দুর্যোগ কবলিত হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা তখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

পিছিয়ে পড়া স্বশাসিত এ মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। আরও উত্তরপূর্বাঞ্চলে থাকা ক্রান্তীয় ঝড় নালজির প্রভাবে এখানে ভারি বর্ষণ হচ্ছে বলে রাজধানী ম্যানিলা থেকে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।