ইমরান সমর্থিত দল সুন্নি ইত্তেহাদকে সংরক্ষিত আসন দেওয়া হচ্ছে না

দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় পিটিআই নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন এবং সব হিসাব পাল্টে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৯০টি আসনে জয়লাভ করে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2024, 02:51 PM
Updated : 4 March 2024, 02:51 PM

এবার ইমরান খান সমর্থিত দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) কে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কে তাদের প্রতীক ‘ব্যাট’ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এমনকি ইমরানসহ দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার মনোনয়নপত্রও নানা কারণ দেখিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে তারা ভোটে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি।

দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় পিটিআই নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন এবং সব হিসাব পাল্টে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৯০টি আসনে জয়লাভ করেন। কিন্তু পাকিস্তানের আইনানুযায়ী, যেহেতু তারা স্বতন্ত্র এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পার্লামেন্টে সংলক্ষিত আসনের বরাদ্দ পান না তাই তারা এসআইসি তে যোগ দেন এবং নিজেদের বরাদ্দের সংরক্ষিত আসন চেয়ে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেন।

ভোটে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দ্বিতীয় হওয়া পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং তৃতীয় হওয়া পিপিপিসহ আরো ছয় দল মিলে মোট আটদলীয় জোট সরকার গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরিফ। সোমবার তিনি শপথ গ্রহণ করেন।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ৭০টি আসন সংরক্ষিত। তার মধ্যে নারীদের জন্য ৬০টি এবং বাকি ১০টি আদিবাসীদের জন্য।

শুধু জাতীয় পরিষদে নয় এসআইসি থেকে চারটি প্রাদেশিক আইনসভাতেও সংরক্ষিত আসনের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ওই চার প্রদেশেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

প্রাদেশিক আইনসভায় আসনের বিষয়ে আগামী বুধবার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।

তবে জাতীয় পরিষদের বিষয়ে সোমবারই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় বলে জানায় পাকিস্তানের দৈনিক ডন। বলা হয়, “আইনির অপরিবর্তনযোগ্য ত্রুটি এবং আইনের প্রয়োজনে সংরক্ষিত আসনের জন্য পার্টি তালিকা জমা দেওয়ার বাধ্যতামূলক যে বিধান রয়েছে তা লঙ্ঘনের কারণে এসআইসি সংরক্ষিত আসনগুলির জন্য কোটা দাবি করার অধিকারী নয়৷”

সেক্ষেত্রে এসআইসি-র দাবি করা সংরক্ষিত আসনগুলোর কী হবে সে প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বলেছে, “জাতীয় পরিষদের কোনো আসন খালি থাকবে না এবং রাজনৈতিক দলগুলির জয়ী আসনের ভিত্তিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলো বরাদ্দ করা হবে।”

মঙ্গলবার পাকিস্তান নতুন জাতীয় পরিষদের প্রথম কার্যদিবস।