যাতে সেখান দিয়ে ইউক্রেইনের শস্য বের করে আনা যায়। অন্যদিকে, ইউক্রেইন স্নেক আইল্যান্ড থেকে রুশ সেনাদের সরে যাওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেইনে আগ্রাসনের পরদিনই সংবাদমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয় ছোট্ট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড।
দ্বীপের সুরক্ষায় থাকা ১৩ ইউক্রেইনীয় সেনা আগ্রাসণের প্রথম দিন রাশিয়ার একটি যুদ্ধ জাহাজের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় এবং আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই ঘটনার একটি অডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ থেকে দ্বীপের সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। দ্বীপের সেনাদের জবাব ছিল, ‘‘জাহান্নামে যাও।”
পরে অবশ্য রাশিয়া উত্তরপশ্চিম কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত দ্বীপটির দখল নেয়। ইউক্রেইন উপকূল থেকে স্নেক আইল্যান্ডের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারেরও কম।
বিবিসি জানায়, রুশ বাহিনীর দ্বীপটি ছেড়ে যাওয়ার ব্যাখ্যায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘‘শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে রাশিয়ার সেনারা আজ স্নেক আইল্যান্ডে নিজেদের কাজ শেষ করেছে এবং সেখানে থাকা সেনাবহিনীকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে ইউক্রেইনের দাবি, তাদের আক্রমণের ফলে রুশ সেনারা স্নেক আইল্যান্ড ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘‘হুররে! স্নেক আইল্যান্ডে রাশিয়ার আর কোনও সেনা নেই। আমাদের সেনাবাহিনী দারুণ কাজ করেছে।”