নিহত ব্যক্তি একজন দর্জি। তার নাম কানহাইয়া লাল। মঙ্গলবার কানহাইয়াকে উদয়পুর জেলায় খুন করা হয়। খুনের পুরো দৃশ্য ভিডিও করে তা অনলাইনে পোস্ট করে দুই খুনি।
তারা দাবি করেছে, সাবেক বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা মহানবী (সাঃ)-কে নিয়ে যে কটূক্তি করেছিলেন কানহাইয়া তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তার প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ড।
ভিডিওতে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরা গোস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আখতারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরেকটি ভিডিওতে তারা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে এবং ভারী ছুরি প্রদর্শন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয়।
রাজস্থানের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে ওই খুনের ভিডিও ‘খুব ভয়ঙ্কর’ হওয়ায় তা সম্প্রচার না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা গত মাসে এক টকশোতে মহাবনী (সাঃ)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা একটি পোস্টে কানহাইয়া তাকে সমর্থন করে করেছিলেন বলে অভিযোগ।
নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানানো বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। এর জেরে বিজেপি নূপুর শর্মাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করে।
এই নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে ভারতজুড়ে ধর্মীয় প্রতিবাদ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ে ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে, এতে প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুন হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কানহাইয়া লালকে গ্রেপ্তার করেছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পুলিশ প্রটেকশনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তখন জীবনের প্রতি হুমকি আসার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদপত্রটিকে জানিয়েছেন, পুলিশ তখন শান্তি আলোচনার জন্য কিছু হিন্দু ও মুসলিমকে ডেকেছিল, এ বৈঠকের পর কানহাইয়া বলেছিল, ‘কারও বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই তার।’